History Gk In Bengali 2022 : মুঘল আমল
1. কত সালে শায়েস্তা খান সুবেদার হয়ে বাংলায় আসেন ?
=> 1664 সালে।
2. কত সালে শায়েস্তা খান দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন ?
=> 1680 সালে।
3. মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার নাম কী ?
=> জহিরউদ্দীন মুহাম্মদ বাবর।
4. কোন যুদ্ধের পর বাংলাদেশ মুঘল সাম্রাজ্যের অর্ন্তভুক্তি হয়েছিল ?
=> রাজমহলের যুদ্ধের পর।
5. কত সালে শায়েস্তা খানের কন্যা পরিবিবির মৃত্যু হয় ?
=> 1684 সালে।
6. আসলে শায়েস্তা খান কে ছিলেন ?
=> শাহজাহানের প্রধানমন্ত্রী, আসক খানের ছেলে ছিলেন।
7. শায়েস্তা খানের পুরো নাম কী ?
=> মির্জা আবু তালেব ওরফে শায়েস্তা খান।
8. মোট কত বছর শায়েস্তা খান বাংলায় থাকেন ?
=> প্রায় 24 বছর।।
9. শায়েস্তা খান চট্টগ্রামের নাম কী রেখেছিলেন ?
=> ইসলামাবাদ ।
10. নবাব শায়েস্তার খানের কন্যার নাম কী ছিল ?
=> পরিবিবি।
11. পরিবিবির আমল নাম কী ছিল ?
=> ইরান দুখত।
12. সুবাদার ইসলাম খান কত সালে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করেন ?
=> 1610 সালে।
13. শাহ মোহম্মদ আজম কে ছিলেন ?
=> সম্রাট ওরঙ্গজেবের তৃতীয় ছেলে।
14. শাহ মোহম্মদ আজম প্রথমে লালবাগ কেল্লার নাম কী রেখেছিলেন ?
=> কিল্লা ওরঙ্গবাদ।
15. বিশ্ব বিখ্যাত মসলিন বস্ত্র কার আমলে তৈরী হত ?
=> মুঘল আমলে।
16. রাজস্ব আদায়ের জন্য কে সর্বপ্রথম ইজারাদারী প্রথা প্রবর্তন করেন ?
=> মুর্শিদকুলি খান ।
17. কত সালে সম্রাট আকবর বাংলা জয় করেন ?
=> 1576 সালে ৷
18. কত সালে মুঘল সম্রাট আকবরের মৃত্যু হয় ?
=> 1605 সালে৷
19. কার নেতৃত্বে ঢাকায় দোলাই খাল খনন করা হয় ?
=> সুবেদর ইসলাম খানের নেতৃত্বে ৷
20. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ কত সালে অনুষ্ঠিত হয় ?
=> 1556 সালে ৷
21. কাদের মধ্যে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
=> আকবরের সেনাপতি বৈরাম খান ও হিমুরের মধ্যে ৷
22. পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ কত সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
=> 1771 সালে ৷
23. কাদের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
=> আহমেদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের মধ্যে ।
24. কোন সম্রাট বাংলাকে 'জান্নাতাবাদ' বলে ঘোষনা করেন ?
=> সম্রাট হুমায়ুন।
25. কোন যুদ্ধে শেরশাহ হুমায়ুনকে পরাজিত করে দিল্লীর সিংহাসন দখল করা হয়েছিল ?
=> কনৌজের যু্দ্ধে ৷
এই সময়কালে, আকবর এবং শাহজাহানের মতো শক্তিশালী সম্রাটদের শাসনে অনেকগুলি বিশাল স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল। এই শাসকদের সৌন্দর্যের প্রতি নজর ছিল - তারা চেয়েছিল যে তাদের শহরগুলি মহিমান্বিত ভবনগুলিতে পূর্ণ হোক যা তাদের শক্তি এবং সম্পদকে প্রতিফলিত করে এবং একই সাথে পাথরের দেয়ালে খোদাই করা বা ছাদে আঁকা জটিল নকশার মাধ্যমে ধর্মীয় বার্তা প্রকাশ করত।
একটি উদাহরণ হল দিল্লিতে হুমায়ুনের সমাধি যেখানে খিলান, গম্বুজ এবং মিনারের মতো ইসলামিক স্থাপত্যের সমস্ত উপাদান পাওয়া যায় তবে এর প্রবেশদ্বারগুলির চারপাশে পদ্ম ফুলের মতো হিন্দু মোটিফগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে - সবগুলি প্রখ্যাত স্থপতি মির্জা গিয়াস বেগ দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে যিনি নিজে সম্রাট হুমায়ুনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ…
স্থাপত্যশৈলী ছাড়াও, ক্ষুদ্রাকৃতির চিত্রকর্ম, টেক্সটাইল ইত্যাদির মতো শিল্পের ক্ষেত্রে মুঘল রাজবংশ একটি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার রেখে গেছে। এই কাজগুলি প্রায়শই সেই সময়ে দরবারী জীবনকে চিত্রিত করে যুদ্ধের বিজয় এবং রাজকীয় শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে জটিল রঙের সাথে প্রাণবন্ত রং ব্যবহার করে উপস্থাপন করা হয়। বিস্তারিত এই ধরণের টুকরোগুলিই সেই দিনগুলিতে লোকেরা কীভাবে জীবনযাপন করত সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার গঠনে সহায়তা করেছিল তখন আমাদের দৈনন্দিন রীতিনীতিগুলি কেমন ছিল তা আমাদের অন্তর্দৃষ্টি দেয়!
সামগ্রিকভাবে, মুঘল রাজবংশ ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি অমার্জনীয় চিহ্ন রেখে গেছে, বিশেষ করে যখন এটি একইভাবে ইতিহাস এবং নান্দনিকতার নিচে আসে!