দুন কাকে বলে?
"দুন" কথাটির অর্থ হল দুই পর্বতের মাঝে নীচু জমি। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকা দুন নামে পরিচিত।
কুমায়ুন হিমবাহ অঞ্চলে মধ্য হিমলয় পর্বতশ্রেণি এবং শিবালিক পর্বতশ্রেণির মধ্যবর্তী অংশে যে দীর্ঘ উপত্যকা রয়েছে তাকে দুন বলা হয়।
দুন কথাটির অর্থ দুটি পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত অগভীর উপত্যকা।
দুন এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল :-
[১] দুন হল একটি অনুদৈর্ঘ্য ও ভূ গাঠনিক উপত্যকা।
[২] এগুলি দীর্ঘ, অল্প বিস্তৃত এবং প্রায় সমতল।
[৩] দুন উপত্যকায় ছোট ছোট হিমবাহ সৃষ্ট হদ দেখা যায়, এদের স্থানীয় ভাষায়
তাল বলে।
১=> দুন হলো অনুদৈর্ঘ্য ও ভূ গাঠনিক উপত্যকা।
২=> এগুলি দীর্ঘ, অল্প বিস্তৃত এবং প্রায় সমতল হয়।
৩=> দুন উপত্যকায় অনেক ছোট ছোট হিমবাহ সৃষ্ট হদ দেখা যায়, যাদের স্থানীয় ভাষায় তাল বলা হয়ে থাকে।
হিমালয়ের উর্ধাংশ থেকে আগত নদীগুলি শিবালিক পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অসংখ্য হ্রদের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীকালে এই হ্রদগুলি নুড়ি, বালি, পলি ইত্যাদি দ্বারা ভরাট হয়ে দুন উপত্যকা সৃষ্টি হয়।
অর্থ- দুন শব্দের অর্থ হলো দুটি পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত অগভীর উপত্যকা।
উৎপত্তি -শিবালিক পর্বতের উত্থানের ফলে হিমাচল হিমালয় থেকে আগত নদীগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মধ্যবর্তী স্থানে হ্রদের সৃষ্টি করে। এবং নদীবাহিত বিভিন্ন ক্ষয়জাত পদার্থ গুলি সঞ্চয় ঘটতে থাকে । পরবর্তীকালে হ্রদের জল শিবালিক পর্বতের অংশ দিয়ে বেরিয়ে গেলে ওই হ্রদ অঞ্চলটি অগভীর পার্বত্য উপত্যকায় পরিণত হয়ে দুন গঠন করে।
উদাহরণ -ভারতের বৃহত্তম দুন উপত্যকা দেরাদুন