১০০ গ্রাম ভাতের পুষ্টি উপাদান।
১০০ গ্রাম ভাতের পুষ্টি উপাদান নিম্নরূপ:
- ক্যালোরি: ১২৯ কিলোক্যালরি
- শর্করা: ৭৮.০৯ গ্রাম
- প্রোটিন: ৭.১২ গ্রাম
- চর্বি: ০.২৮ গ্রাম
- আঁশ: ১.৩০ গ্রাম
- থায়ামিন: ০.০৭ মিলিগ্রাম
- রাইবোফ্লেভিন: ০.০১৫ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন: ১.০৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬: ০.৩ মিলিগ্রাম
- ফলিক অ্যাসিড: ৪৭ মাইক্রোগ্রাম
- পটাসিয়াম: ৩৬০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: ২৫ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম: ২৮ মিলিগ্রাম
- আয়রন: ০.৮ মিলিগ্রাম
- জিংক: ১.০৯ মিলিগ্রাম
শর্করা: ভাতের প্রধান পুষ্টি উপাদান হল শর্করা। প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে ৭৮.০৯ গ্রাম শর্করা থাকে। শর্করা শরীরের প্রধান শক্তির উৎস।
প্রোটিন: প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে ৭.১২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।

চর্বি: প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে ০.২৮ গ্রাম চর্বি থাকে। চর্বি শরীরের কোষ গঠন ও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আঁশ: প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে ১.৩০ গ্রাম আঁশ থাকে। আঁশ হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন: ভাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়, যেমন থায়ামিন, রাইবোফ্লেভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফলিক অ্যাসিড। এই ভিটামিনগুলো শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়।
খনিজ লবণ: ভাতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ পাওয়া যায়, যেমন পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক। এই খনিজ লবণগুলো শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়।
ভাত একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে ভাত খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। ভাত বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভাত খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। এছাড়া ভাত রান্না করার সময় মাড় ফেলে দেওয়া উচিত নয়। মাড় ফেলে দিলে ভাতের পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়।