শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় লেখ।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় হল:
উৎস নিয়ন্ত্রণ: শব্দ দূষণের উৎসগুলিকে চিহ্নিত করে এবং তাদের শব্দ মাত্রা কমিয়ে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন শব্দ-শোষণকারী উপকরণ ব্যবহার করা, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামগুলিকে আরও শব্দ-বান্ধব করা, এবং যানবাহনগুলির গতি কমানো।
প্রভাব নিয়ন্ত্রণ: শব্দ দূষণের প্রভাবগুলিকে কমিয়ে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন কানে ঢিলেঢালা কাপড় বা হেডফোন পরা, এবং শব্দ-প্রভাবিত এলাকায় থাকার সময় বিশ্রাম নেওয়া।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ধারণ: শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য শব্দের মাত্রা মাপার জন্য যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শব্দ দূষণের উৎসগুলিকে চিহ্নিত করতে এবং তাদের শব্দ মাত্রা কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সহায়ক।
শব্দ দূষণের আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন: শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ধারণের জন্য এবং শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। এই আইন ও বিধিমালাগুলি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে জনগণ শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবে এবং শব্দ দূষণ রোধে সহায়তা করবে।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যক্তিগতভাবেও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
যানবাহন ব্যবহার কমানো: যানবাহন থেকে শব্দ দূষণের পরিমাণ বেশি। তাই যানবাহন ব্যবহার কমিয়ে শব্দ দূষণ কমানো সম্ভব।
শব্দ-শোষণকারী উপকরণ ব্যবহার করা: বাড়িতে, অফিসে, এবং অন্যান্য স্থানে শব্দ-শোষণকারী উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে শব্দ দূষণের প্রভাব কমে যাবে।
শব্দ-প্রভাবিত এলাকায় থাকার সময় বিশ্রাম নেওয়া: শব্দ-প্রভাবিত এলাকায় বেশি সময় থাকা এড়িয়ে চলা উচিত। যদি থাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কানে ঢিলেঢালা কাপড় বা হেডফোন পরা যেতে পারে।