জনপদ বলতে কী বোঝায়?
যখন কোন একটি অঞ্চলে কিছু মানুষ একসাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে, তখন সেখানে একটি জনপদ গড়ে উঠে ।
Table Of Contents
সংস্কৃত শব্দ জন শব্দের অর্থ হল উপজাতি এবং পদ শব্দের অর্থ হল পা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট উপজাতি গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট কোনো বসতি কেই জনপদ বলা হয়।
শেয়ার
সেভ
শুনুন
জনপদ বলতে কী বোঝায়?
18
জনপদ বলতে কী বোঝায়?
asked
শিক্ষক 2
18 answers
2915
যখন কোন একটি অঞ্চলে কিছু মানুষ একসাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে, তখন সেখানে একটি জনপদ গড়ে …
Answer Link
answered
শিক্ষক 2
উত্তর :- বঙ্গ জনপদের।
উত্তর:- প্রাচীন বাংলায়, জনপদ বলতে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী একটি নির্দিষ্ট জাতির বসতিকে বোঝানো হয়। বাংলার প্রাচীন জনপদগুলি ছিল ছোট ছোট স্বাধীন অঞ্চল। এই জনপদগুলির নিজস্ব শাসক, প্রশাসন এবং আইন ছিল।
বাংলার প্রাচীন জনপদগুলির মধ্যে রয়েছে:
1.পুণ্ড্র
2.বরেন্দ্র
3.বঙ্গ
4.সমতট
5.রাঢ়
6.হরিকেল
7.তাম্রলিপ্ত
দুই বা ততোধিক জনপদ সংযুক্ত হয়ে বৃহৎ আয়তন রাজ্যের উত্থান ঘটে, জনপদ অপেক্ষা বৃহৎ এই রাজ্যগুলিকে মহাজনপদ বলা হয় ।
পুণ্ড্র 》 বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ বিশেষ
বরেন্দ্ৰ 》 বগুড়া,পাবনা, রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ
বঙ্গ 》 ঢাকা, ফরিদপুর, বিক্রমপুর, বাকলা (বরিশাল)
গৌড় 》 মালদহ , মুর্শিদাবাদ,বীরভূম,বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সমতট 》 বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল
রাঢ় 》 পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল বর্ধমান জেলা
হরিকেল 》 চট্টগ্ৰাম, পার্বত্য চট্ৰগ্ৰাম, ত্ৰিপুরা, সিলেট
চন্দ্ৰদ্বীপ 》 বরিশাল, বিক্ৰমপু্র, মুন্সীগঞ্জ জেলা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল
সপ্তগাঁও 》 খুলনা এবং সমুদ্ৰ তীরবর্তী অঞ্চল
কামরূপ 》 জলপাইগুড়ি, আসামের বৃহত্তর গোয়ালপাড়া জেলা,বৃহত্তর কামরূপ জেলা
তাম্ৰলিপ্ত 》 মেদিনীপুর জেলা
রূহ্ম (আরাকান) 》 কক্সবাজার, মায়ানমারের কিছু অংশ, কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণা অঞ্চল
সূহ্ম 》 গঙ্গা-ভাগীরথীর পশ্চিম তীরের দক্ষিণ ভূভাগ,আধুনিক মতে বর্ধমানের দক্ষিণাংশে, হুগলির বৃহদাংশ, হাওড়া এবং বীরভূম জেলা নিয়ে সূহ্ম দেশের অবস্থান ছিল
বিক্রমপুর 》 মুন্সিগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল
বাকেরগঞ্জ 》 বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট
প্রাচীন পুরাজ্যের রাজধানী ছিল- পুণ্ড্রনগর বা পুণ্ড্রবর্ধন।
বিখ্যাত সাধক শাহ-সুলতান বলখির মাজার অবস্থিত- মহাস্থানগড়ে।
বেহুলা-লখিন্দরের বাসর ঘর অবস্থিত- মহাস্থানগড়ে।
Source:- উইকিপিডিয়া
প্রাচীন বাংলার জনপদ গুলােকে শশাঙ্ক গৌড় নামে একত্রিত করেন। পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম গৌড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থে এ জনপদের শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। হর্ষবর্ধনের শিলালিপি হতে প্রমাণিত হয় যে, সমুদ্র উপকূল হতে গৌড় দেশ খুব বেশি দূরে ছিল না। সাত শতকে গৌড়রাজ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও এর সন্নিকটের এলাকা গৌড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আধুনিক এ লদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের কিছু অংশ গৌড়ের সীমানা মনে করা হয়।
wikipedia.org থেকে নেওয়া হয়েছে ।
আরো জানতে ভিজিট করুন:-
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8_%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9
রাঢ় বাংলার একটি প্রাচীন জনপদ। ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীর হতে গঙ্গা নদীর দক্ষিণাঞ্চল রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত। অজয় নদী রাঢ় অঞ্চলকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। উত্তর রাঢ় বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমাংশ সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা দক্ষিণ রাঢ় বর্ধমানে দক্ষিণাংশ হুগলি বহুলাংশ এবং হাওড়া জেলা।
হরিকেল জনপদ
সপ্তম শতকের লেখকেরা হরিকেল নামে একটি জনপদের বর্ণনা করেছেন। চীনা ভ্রমণকারী ইৎ সিং বলেছেন, হরিকেল ছিল পূর্ব ভারতের শেষ সীমায়। ত্রিপুরার শৈলশ্রেণির সমান্তরাল অঞ্চল সিলেট হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হরিকেল বিস্তৃত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত দুইটি শিলালিপিতে হরিকেল সিলেটের সঙ্গে সমর্থক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাম্রলিপ্ত নামক জনপদ হরিকেল ও রাঢ়ের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। তাম্রলিপ্ত প্রাচীন বাংলার একটি বিখ্যাত বন্দর ছিল। বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকই এলাকাই ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদের কেন্দ্রস্থল। পেরিপ্লাস’ নামক গ্রন্থে এবং টলেমি, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং ও ইৎ সিংয়ের বিবরণে এই তাম্রলিপ্ত জনপদের নাম বন্দর হিসেবে উল্লেখ আছে। সপ্তম শতক হতে এটা দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। আট শতকের পর হতেই তাম্রলিপ্ত বন্দরের সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে।
তথ্যসূত্র :- উইকিপিডিয়া
বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, পাবনা, ফরিদপুর নােয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি এবং পশ্চিমের উচ্চভূমি যশাের, কুষ্টিয়া, নদীয়া, শান্তিপুর ও ঢাকার বিক্রমপুর সংলগ্ন অঞ্চল ছিল বঙ্গ জনপদের অন্তর্গত। পাঠান আমলে সমগ্র বাংলা বঙ্গ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়। পুরানাে শিলালিপিতে ‘বিক্রমপুর’ ও ‘নাব্য' নামে দুটি অংশের উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন বঙ্গ ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য। ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে বঙ্গ নামে উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়া রামায়ণ, মহাভারতে এবং কালিদাসের ‘রঘুবংশ’ গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।
সমতট জনপদ
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর বিবরণ অনুযায়ী সমতট ছিল বঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ পূর্বাংশের একটি নতুন রাজ্য। মেঘনা নদীর মােহনাসহ বর্তমান কুমিল্লা ও নােয়াখালী অঞ্চল সমতটের অন্তর্ভুক্ত। কুমিল্লা জেলার বড় কামতা সমতট রাজ্যের রাজধানী ছিল বলে জানা যায়। কুমিল্লা ময়নামতিতে পাওয়া প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম ‘শালবন বিহার।
wikipedia.org থেকে নেওয়া হয়েছে ।
=> ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের লেখক হলেন মহিদাস। ঐতরেয় হলো লেখক মুনির নাম এবং আরণ্যক অর্থ বন্য বা বনজাত।
1>সিলেট কোন জনপদের অন্তর্গত ছিল?
=>সিলেট হরিকেল জনপদের অন্তর্গত ছিল।
2>সিলেট কিসের জন্য বিখ্যাত?
=> সিলেট জেলা কমলালেবু, চাপাতা, সাতকড়ার আচার এবং সাত রঙের চা এর জন্য বিখ্যাত।
3>সিলেট এর পূর্ব নাম কি ছিল?
=>সিলেটের পূর্ব নাম ছিল জালালাবাদ।
4>সিলেট জেলার আয়তন কত?
=> সিলেট জেলার আয়তন হল ৩,৪৯০.৪০ বর্গ কিমি।
👉 প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড়াে অঞ্চলকে জন বলা হতাে। তাই জনগণ যেখানে পা বা পদ রাখত অথাৎ বাস করত সেই অঞ্চলকেই জনপদ বলা হয়।
https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQqEieeOaLJDudODAgUo3296XtRSvo44pmbWA&usqp=CAU
শুধু মনে রাখলেই হইবে "পুণ্ড্রের বরপুত্র হরিহর গড়ে তুলে বঙ্গের সমরাট" ।
1.পুন্ড্রের=পুণ্ড্র,
2.বরপুত্র=বরেন্দ্র,
3.হরিহর=হরিকেল,
4.গড়ে=গৌড়,
5.বঙ্গের=বঙ্গ,
6.সম=সমতট,
7.রাট=রাঢ়।