সম্পদ কাকে বলে? সম্পদ কত প্রকার এবং বৈশিষ্ট্য লেখ?
যেসব বস্তু বা উপাদান মানুষের চাহিদা পূরণ করে তাদের সম্পদ বলা হয়।
অধ্যাপক জিমারম্যানের মতে :- সম্পদ বলতে কোন বস্তু বা পদার্থকে বোঝায় না বরং ওই বস্তু বা পদার্থের মধ্যে যে কার্যকরীতা ও উপযোগিতা রয়েছে তাই হল সম্পদ ।
Table Of Contents
সম্পদ কয় প্রকার ও কী কী
সম্পদের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে সম্পদকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
জৈব সম্পদ | অজৈব সম্পদ |
যে সব সম্পদ জীব, জন্তু ও উদ্ভিদ থেকে আহরণ করা হয়, তাদের জৈব সম্পদ বলে। | যেসব সম্পদ প্রাণহীন জড়বস্তু থেকে তৈরি করা হয়, তাদের অজৈব সম্পদ বলে। যেমন : ধাতব, খনিজ, জল ইত্যাদি। |

শেয়ার
সেভ
শুনুন
সম্পদ কাকে বলে? সম্পদ কত প্রকার এবং বৈশিষ্ট্য লেখ?
5
সম্পদ কাকে বলে? সম্পদ কত প্রকার এবং বৈশিষ্ট্য লেখ?
asked
শিক্ষক 2
5 answers
2915
যেসব বস্তু বা উপাদান মানুষের চাহিদা পূরণ করে তাদের সম্পদ বলা হয়। অধ্যাপক জিমারম্যানের মতে…
Answer Link
answered
শিক্ষক 2
১👉 কার্যকারিতা : সব বস্তুকে আমরা সম্পদ বলতে পারি না। যেসব বস্তুর উপযোগিতা আছে তাদের সম্পদ বলে গণ্য করা হয়। যেমন মাটির নিচে থাকা কয়লা, সম্পদ নয়। যখন আমরা সেই কয়লা মাটি থেকে বাইরে বের করে নিজেদের কাজে লাগায় তখন তাকে সম্পদ বলা হয়।
২👉 উপযোগিতা : যেসব বস্তুর উপযোগিতা রয়েছে তাদের সম্পদ বলে গণ্য করা হয়। যেমন - খাদ্যশস্য আমাদের খাদ্যের 🍳🍎🍌🍒 যোগান দেয়। তাই খাদ্যের উপযোগিতা রয়েছে।
৩👉 গ্রহণযোগ্যতা : জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্পদের গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে।
৪👉 সীমিত সরবরাহ : সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল তার সীমিত যোগান। কোনো কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরন্ত হয়। যেমন- নদীর জল। কিন্তু কোনো কোনো প্রাকৃতিক সম্পদের যোগান সীমাবদ্ধ। যেমন- খনিজ সম্পদ।
সম্পদের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে সম্পদকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
১. জৈব সম্পদ => যে সব সম্পদ জীব, জন্তু ও উদ্ভিদ থেকে আহরণ করা হয়, তাদের জৈব সম্পদ বলে।
২. অজৈব সম্পদ => যেসব সম্পদ প্রাণহীন জড়বস্তু থেকে তৈরি করা হয়, তাদের অজৈব সম্পদ বলে। যেমন : ধাতব, খনিজ, জল ইত্যাদি।
১-গচ্ছিত বা অপুনর্ভব সম্পদ :- যে সব সম্পদ সীমিত এবং ব্যবহারের ফলে শেষ হয়ে যেতে পারে সেইসব সম্পদগুলিকে গচ্ছিত সম্পদ বলা হয়। যেমন - কয়লা,খনিজ তেল প্রভৃতি।
২-অবাধ বা প্রবাহমান সম্পদ :- যেসব সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলেও শেষ হয়ে যায় না, তাদের অবাধ বা প্রবাহমান সম্পদ বলা হয়। যেমন সূর্যরশ্মি, জল, বাতাস প্রভৃতি।
যে সকল বস্তু বা উপকরণের উপযোগিতা আছে সে সকল বস্তুকে সম্পদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, সে সকল বস্তু মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজন মেটাতে পারে, তাদের সম্পদ বলা হয়। যেমন:- খাদ্যশস্য মানুষের খাদ্য পূরণ করতে সাহায্য করে। সুতরাং খাদ্যের উপযোগিতা রয়েছে তাই খাদ্যকে সম্পদ বলা যেতে পারে।
১. একমাত্র লভ্য সম্পদ বা অদ্বিতীয় সম্পদ : যেসব সম্পদ পৃথিবীর একটিমাত্র জায়গায় পাওয়া যায়, তাদের একমাত্র লভ্য সম্পদ বা অনন্য সম্পদ বা অদ্বিতীয় সম্পদ বলা হয়। যেমন :- গ্রীনল্যান্ডের ক্রায়োলাইট।
২. দুষ্প্রাপ্য সম্পদ : যেসব সম্পদ সহজে পাওয়া যায় না শুধুমাত্র পৃথিবীর কয়েকটি স্থানে পাওয়া যায়, তাদের দুষ্প্রাপ্য সম্পদ বলা হয়। যেমন :- ভারত ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্র।
৩. সহজলভ্য সম্পদ : যেসব সম্পদ পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া না গেলেও বেশিরভাগ জায়গায় পাওয়া যায়, এইসব সম্পদকে সহজলভ্য সম্পদ বলে।যেমন :- কৃষিজমি, বনভূমি ইত্যাদি।
৪. সর্বত্র লভ্য সম্পদ : যেসব সম্পদ পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া যায়, তাদের সর্বত্র লভ্য সম্পদ বলে। যেমন :- বায়ুপ্রবাহ।