প্রশ্ন ও উত্তর পান আপনার মোবাইলে..Subscribe
পশ্চিমবঙ্গসাধারণ জ্ঞানবিপরীত শব্দসন্ধি বিচ্ছেদ FaceBookকুইজ খেলুনবিজ্ঞাপন আমাদের অ্যাপ
শিক্ষক
শিক্ষক ২০ নভেম্বর . #কাকে বলে . #ক্লাস 12
Follow Us  

বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? এর কারণ, ফলাফল এবং নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখ।

ভূমিকা: একবিংশ শতাব্দীর জীবন যাত্রা আজ বিজ্ঞান কেন্দ্রিক। science in everyday life শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো প্রতিমুহূর্তেই আমাদের জীবনে তার অস্তিত্ব। কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতি সত্ত্বেও সভ্যতার কপালে আজ দুশ্চিন্তার প্রশ্ন চিহ্ন। মুক্ত প্রাণ, মুক্ত বায়ু আজ বিপন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ, অপরিমেয় ভোগ ও স্বাচ্ছন্দের জন্য বিশ্ব পরিবেশ আজ গভীর সংকটের মুখোমুখি। সভ্য মানুষ পরিবেশকে নানাভাবে দূষিত করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে গিয়ে যে গভীর সমস্যার সৃষ্টি করেছে তার নাম বিশ্ব উষ্ণায়ন বা global warming .

Table Of Contents

"অন্য চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু;
চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ উজ্জ্বল পরমায়ু।"
---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে বা বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কী বোঝ?

বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে সারা পৃথিবীর গড় উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়াকে বোঝানো হয়।

অর্থাৎ সূর্য রশ্মি ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পড়ে এবং তার ফলে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। এরপর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত সূর্য রশ্মি দীর্ঘ তরঙ্গ রূপে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কিন্তু মানুষের অবিবেচনা প্রসূত ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরে গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সৌর রশ্মি দীর্ঘ তরঙ্গ রূপে মহাশুন্যে ফেরার সময় এই গ্রিনহাউস গ্যাস গুলির দ্বারা শোষিত হওয়ায় নিম্ন বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতা অপেক্ষা এরূপ ক্রমবর্ধমান ও অস্বাভাবিক উষতা বৃদ্ধিকে বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming নামে অভিহিত করেছেন।

পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাসীয় উপাদান গুলির নাম।

কার্বন-ডাইঅক্সাইড, ওজন, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, প্রভৃতি হল উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারী গ্রীনহাউস গ্যাস। শিল্প বিপ্লবের আগে ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে বাতাসে Co2 এর পরিমাণ ছিল ২৮০ ppm. বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮২ ppm. এর ও বেশি । গ্রীন হাউস এফেক্ট Co2 এর পরেই আছে মিথেন গ্যাস প্রায় ১৩%।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ :

বিশ্ব উষ্ণায়নের যে কারণগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল :

১.জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার :

কলকারখানা ,যানবাহন ,বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি যথা - কয়লা ,পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি হাইড্রোকার্বন জাতীয় যৌগ দহনের ফলে বায়ুতে Co2,Co,So2 প্রভৃতি ক্ষতিকারক গ্যাস মেশে । ফলে বায়ুতে ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে এবং বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২.অবাধে বৃক্ষ ছেদন :

কৃষিকাজ, বাসস্থান নির্মাণ, নগরায়নের সম্প্রসারণ, জ্বালানি কাঠের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদির কারণে মানুষ অবাধে বনভূমি ছেদন করছে। ফলে বায়ুতে Co2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩.CFC এর অতি ব্যবহার :

CFC একটি গ্রীন হাউস গ্যাস। এটি রেফ্রিজারেটার, শীত-তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ইলেকট্রনিক শিল্প এবং রং উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। ফলে বায়ুতে CFC এর পরিমাণ বাড়ছে।

৪.ওজোন স্তরে ক্ষত সৃষ্টি:

বায়ুতে CFC এর পরিমাণ বাড়ার ফলে তা স্ট্যাটোস্ফিয়ারের ওজন স্তরকে ক্ষত করছে ও সাথে সাথে জলবায়ু পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।

৫.দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়নের বৃদ্ধি:

বর্তমানে নগরায়ন ও শিল্পায়নের সমৃদ্ধি সভ্যতাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এই অগ্রগতির ফলে শিল্প ও কলকারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা থেকে নির্গত কার্বন এবং বিভিন্ন দূষিত বজ্র পদার্থ বায়ুকে দূষণ করছে।

৬.মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি:

বিজ্ঞানীদের মতে এই ধারার সূত্রপাত আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে যখন থেকে শুরু কৃষিকাজের। চাষবাস বাতাসে উপহার দেয় একটি ভয়াবহ গ্রীন হাউস গ্যাস - মিথেন। এই মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আগাম সর্তকতা: বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে যে ভয়ংকর পরিণতি হবে তার আগাম সতর্ক বার্তা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের থেকে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আবার ২০৩০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর ফলে ২০৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মেরু প্রদেশে ৮০ শতাংশ বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাবে। আর সমুদ্রের জলস্তর ১মিটারের বেশি উঁচু হলেই উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল চিরতরে সমুদ্রের জলের তলায় চলে যাবে। এর ফলে বাড়বে সুনামি ও নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? এর কারণ, ফলাফল এবং নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখ।

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলাফলগুলি হল:

[১] জলবায়ুর উপর প্রভাব:

  • গ্রীষ্ম ঋতু আরো দীর্ঘ হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে তাপ প্রবাহের সংখ্যা বাড়ছে। যেমন ১৯৮০ থেকে ৮৮ সালের মধ্যে ভারতে ১৮ টি তাপ প্রবাহের ঘটনা ঘটে।
  • শীত প্রধান অঞ্চলে শীতের তীব্রতা হ্রাস পাচ্ছে।
  • বৃষ্টিপাতের বন্টনে সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটছে। অতি বৃষ্টিবহুল এলাকাতে খরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

[২] বরফ ও হিমবাহের গলন বৃদ্ধি:

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহের গলন অধীন মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • উত্তর মেরু সংলগ্ন আলাস্কা উপকূলের যে কিভালানা পর্বতের চূড়া রয়েছে তা বছরে ৮ ফিট করে বরফ গলে যাচ্ছে।
  • ৬০% গলে দিয়েছে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর হিমবাহ।

[৩] সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি:

  • হিমবাহ গলে সেই জল সমুদ্রে মিশে এবং জল তলের উচ্চতা বৃদ্ধি করে। গত ১০০ বছরে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা ১০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে এবং তা বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পরিবেশবিদদের ধারণা।সমুদ্র তলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সমুদ্র উপকূলের নিচু ভূমি জলের তলায় ডুবে যাবে।ফলে কৃষি কাজ এর জমি কমবে এবং খাদ্য সংকট বাড়বে।
  • সমুদ্র উপকূল অঞ্চলের জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে পড়বে। ভারত বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের ম্যানগ্রোভ অরণ্য সংকটের মুখে।

[৪] অধঃক্ষেপণের প্রকৃতি পরিবর্তন:

  • বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বিভিন্ন উৎসের জল অধিক দ্রুত ও বেশি পরিমাণে বাষ্পীভূত হচ্ছে।
  • তার ফলে বৃষ্টিপাত বা অধঃক্ষেপণের পরিমাণ সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
  • বাষ্পীভবনের ফলে কোথাও প্রবল বর্ষণ আবার কোথাও খরা হচ্ছে।

[৫] কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন বৃদ্ধি:

  • খরা ও বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে।
  • বর্ষার সময় খরার ফলে খারিফ চাষ ব্যাহত হচ্ছে ।
  • আবার স্বল্প বৃষ্টি ও অনিয়মিত বৃষ্টির জন্য ফল ফুলের চাষ নষ্ট হচ্ছে।
  • তাই ব্যাপক কৃষি জায়গায় মিশ্র কৃষির ঝোঁক বাড়ছে।
  • মাছের চাষ ও পশুপালনের দিকেও মানুষের ঝোঁক বাড়ছে।

[৬] শস্য উৎপাদনের হ্রাস বৃদ্ধি:

  • উত্তাপ বাড়লে গাছের সালোকসংশ্লেষের মাত্রা বাড়ে ফলে উৎপাদন হ্রাস পায়।
  • অতিরিক্ত উষ্ণতায় কখনো কখনো ফসল উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়।

[৭] এল নিনো ও পৃথিবীব্যাপী তার প্রভাব:

  • দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে শীতল স্রোতের পরিবর্তে অস্থায়ী উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের আবির্ভাবের ঘটনাকে এল নিন বলে।
  • বিজ্ঞানীদের অনুমান যে বছরে এল নিনো প্রবাহিত হয় সে বছর দক্ষিণ এশিয়াতে পূবালী জেট বায়ুর দু'ভাগ হয়ে পড়ায় প্রত্যয়নকারী মৌসুমী বায়ু কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতবর্ষে দেরিতে প্রবেশের ফলে খরা সৃষ্টি হয়।

[৮] দাবানল বৃদ্ধি:
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীব্যাপী দাবানল বাড়বে এবং বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ নিশ্চিহ্ন হবে।

[৯] রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি:
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে উষ্ণ বা ক্রান্তীয় অঞ্চলের সংক্রামক ব্যাধি গুলি যেমন - ম্যালেরিয়া, কলেরা, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া প্রভৃতি পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি কী?

  1. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
  2. রাসায়নিক সার (যেমন ইউরিয়া) ব্যবহারের ফলে বায়ুতে নাইট্রোজেন অক্সাইড এর পরিমাণ বাড়ছে তাই রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হবে।
  3. অচিরাচরিত শক্তি যেমন - সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জলবিদ্যুৎ, জোয়ার ভাটা প্রভৃতি শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
  4. গ্রীন হাউস প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদান গুলির বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব দ্রব্য বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে।
  5. বিশ্বজুড়ে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের সরকারি উদ্যোগ সমূহ:

বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধের জন্য সরকারি পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সচেষ্ট হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিরোধে, যে সমস্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সমূহ রয়েছে সেগুলি হল - বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (১৯৭৯), বসুন্ধরা সম্মেলন (১৯৯২), কিয়োটো প্রটোকল(১৯৯৭), দোহা সম্মেলন (২০১২)।

উপসংহার:
বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীর এক গভীর অসুখ। এর থেকে মুক্তির উপায় সচেতনতা। শুধুমাত্র ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করলে হবে না প্রত্যেকদিন প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পরিবেশবিদদের সতর্কবার্তা মনে রেখে গ্রীন হাউস গ্যাসের উৎস বন্ধ করতে হবে। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন
ভগ্নাংশ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী? ধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? শব্দ দূষণ কাকে বলে? কারণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের উপায়।
পরিবেশ বলতে কী বোঝ? পরিবেশের গুরুত্ব লেখ। ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।

শেয়ার
সেভ
শুনুন
AI উত্তর
3 টি উত্তর
  1. বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কি বোঝায়?
    উত্তর :- সূর্য থেকে আগত তাপশক্তি পৃথিবী পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে এবং এ বিকিরিত তাপশক্তির অধিকাংশই পুনরায় বায়ুমন্ডলে ফিরে যায়। কিন্তু মানবসৃষ্ট দূষণ এবং বনভূমির পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ার ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
    ফলে সৌররশ্মি দীর্ঘ তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় এই গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির দ্বারা শােষিত হয় এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলের উন্নতা বৃদ্ধি করে। পৃথিবীর স্বাভাবিক উষ্ণতা অপেক্ষা এরূপ ক্রমবর্ধমান ও অস্বাভাবিক উষতা বৃদ্ধিকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming বলা হয়।
    Reply Delete
    Share
  2. -: সুন্দরবনের উপর বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব :-
    বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে । এরফলে সুন্দরবন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে । 2009 সালে আয়লা, 2020 সালে শক্তিশালী আম্ফান ইত্যাদি ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন অঞ্চলের জনজীবন বিধ্বস্ত করেদিয়েছে ।
    • বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে?
      উত্তর:- সূর্য থেকে আগত তাপশক্তি পৃথিবীপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে এবং ঐ তাপশক্তির অধিকাংশই পুনরায় বায়ুমন্ডলে ফিরে যায়। কিন্তু মানবসৃষ্ট দূষণ এবং বনভূমি ধ্বংসের ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেছে। পৃথিবীর এই গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming বলা হয়।
      https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQsmIbJQWvCVrAFp0l4bOFLqdClR_81cYcK3g&usqp=CAU
    Reply Delete
    Share
    Reply Delete
    Share
একটি উত্তর লিখুন
banner

লেখালেখি করে মাসে ৪ - ৫ হাজার টাকা ইনকাম করুন।

Ask 3schools এর ব্যবহারকারীদের সাথে আপনার জ্ঞান শেয়ার করুন এবং মাসে ₹৫০০০ পর্যন্ত আয় করার সুযোগ পান। কন্টেন্ট লিখতে চাইলে "কন্টেন্ট লিখুন" এবং প্রশ্ন ও উত্তর লিখতে চাইলে "প্রশ্ন ও উত্তর লিখুন" বাটনটি ক্লিক করে সমস্ত বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন।

কন্টেন্ট লিখুনপ্রশ্ন ও উত্তর লিখুন
back
View All
ask 3schools
প্রশ্ন করুন