একনজরে পশ্চিমবঙ্গসাধারণ জ্ঞানবিপরীত শব্দসন্ধি বিচ্ছেদ FaceBookকুইজ খেলুনবিজ্ঞাপন আমাদের অ্যাপ
কুইজে অংশগ্রহণ করে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।Play Now
শিক্ষক
শিক্ষক ১৫ এপ্রিল › #কাকে বলে #ক্লাস 7
Follow Us  

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? ব্যবস্থাপনার কয়টি স্তর, বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।

ভূমিকা / সংজ্ঞা : ইংরেজি 'Management' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা। এর দ্বারা কোন কিছু পরিচালনা করার কৌশলকে বোঝায়। ইংরেজি 'Management' শব্দটি ইতালীয় শব্দ 'Maneggiare' ও 'Manage' থেকে উৎপত্তি হয়েছে। মূলত সুসংগঠিত ভাবে এবং একই উদ্দেশ্যে পরিচালিত পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কাজ যে উপায়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হতে পারে ,তাকে ব্যবস্থাপনা বলে।

অন্যভাবে বলা যায়, একটি পূর্বনির্ধারিত উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্ম প্রণালী স্থির করা, সংগঠন তৈরি করা, কর্মীর কর্ম প্রচেষ্টা পরিচালনা ও সংযোজন করা, তাদের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা, সহযোগিতার উদ্দেশ্যে তাদেরকে প্রনোদিত করা ইত্যাদি কাজের সমষ্টিকে ব্যবস্থাপনা বলা হয়।

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে বা ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?

ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা সম্পর্কে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতামত:

  1. আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হেনরি ফেয়ল এর মতে, " ব্যবস্থাপনা হচ্ছে পূর্বানুমান ও পরিকল্পনা, সংগঠন করা, নির্দেশনা দান, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ।"(To manage is to forecast and plan to organize, to command, to co-ordinate and control.)
  2. E.F.L Brech- এর মতে,- " ব্যবস্থাপনা হলো পরিকল্পনা, সমন্বয় সাধন, নিয়ন্ত্রণ ও উৎসাহ দানের সামাজিক প্রক্রিয়া। (Management is the social process of planning,co-ordination, control and motivation ".)
  3. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার প্রবর্তক F.W.Taylor এর মতে,-"ব্যবস্থাপনা হলো সর্বোত্তম উপায়ে ও সর্বনিম্ন ব্যয়ে তুমি কি করতে চাও তা জানার কলা।" (Management is the art of knowing what you want to do in the best and cheapest way.)

উপরোক্ত সংজ্ঞার মাধ্যমে বলা যেতে পারে যে - ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি দল বা প্রতিষ্ঠানের উপকরণাদির দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত উদ্দেশ্য অর্জনের বিরুদ্ধে একটি কর্ম প্রক্রিয়া বিশেষ। একে নিম্নোক্ত চিত্রের মাধ্যমে দেখানো যেতে পারে।

দল / প্রতিষ্ঠান > উদ্দেশ্য > উপকরণাদি (অর্থ, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, শ্রমিক ,পদ্ধতি) > কর্ম প্রক্রিয়া (যাতে থাকবে -পরিকল্পনা, সংগঠন, নেতৃত্ব ,নিয়ন্ত্রণ) >উদ্দেশ্য অর্জন।

ব্যবস্থাপনার স্তর কয়টি ও কী কী?

ব্যবস্থাপনার কাজটিকে সুস্থ সমাধানের লক্ষ্যে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। নিম্নেতে আলোচনা করা হলো:

[১] উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা: এই পর্যায়ে মূলত যে কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ,লক্ষ্য ও নীতি নির্দেশনা বিষয়টি লক্ষিত হয়। এই পর্যায়ে সমস্ত কর্ম পরিকল্পনাটি যারা পরিচালনা করেন তারা হলেন - চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহা ব্যবস্থাপক।

[২] মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা: এই পর্যায়ের ব্যবস্থাপনায় মূলত পরিকল্পনা গ্রহণ, নেতৃত্ব পরিচালনা ,উপায় উপকরণাদি, সমন্বয় ,নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি কাজ গুলি সংঘটিত হয়ে থাকে। এই কাজগুলি যারা পরিচালনা করেন তারা হলেন-বিভাগীয় ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক, এরিয়া ম্যানেজার।

[৩] নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা: এই পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা মূলত তত্ত্বাবধান সম্পর্কিত। এই পর্যায়ে যারা কাজটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন তারা হলেন -ফোরম্যান, সুপারভাইজার ইত্যাদি।

ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি?

ব্যবস্থাপনার যে বৈশিষ্ট্য গুলো খুবই উল্লেখযোগ্য সেগুলি হল:-

  1. প্রক্রিয়া বা কাজের সমাহার: পরস্পর নির্ভরশীল ধারাবাহিক কাজের সমষ্টিকে প্রক্রিয়া বলে। এই প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে সক্ষম করে।
  2. সামাজিক প্রক্রিয়া বা কার্যক্রম: ধারাবাহিক কার্য সমষ্টির সাথে সমাজের বা সমাজ সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সম্পৃক্ততাকে বুঝায়। ব্যবস্থাপনা মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা করে।
  3. লক্ষ্য অর্জনের উপায়: কোন কাজের মূলে যে প্রত্যাশা থাকে তাকে লক্ষ্য বলে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
  4. কাজ আদায়ের কৌশল: ব্যবস্থাপনা সব সময়ই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত জনশক্তির কাছ থেকে যথাযথ কাজ আদায়ে সচেষ্ট থাকে। এই লক্ষ্যেই পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মী সংস্থান ইত্যাদি কাজ পরিচালিত হয়। অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কৌশলই হলো ব্যবস্থাপনা।
  5. অর্থনৈতিক সম্পদ: উৎপাদনের কাজে লাগে এমন কিছুকেই সম্পদ বলে। সেই দিক থেকে ব্যবস্থাপনা একটি মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে সকল উপায় -উপকরণ থাকা সত্ত্বেও সঠিক লক্ষ্য অর্জনে সম্ভব হয় না।
  6. জ্ঞানের পৃথক শাখা: ব্যবস্থাপনা আজ জ্ঞানের একটি পৃথক শাখা হিসেবে স্বীকৃত। সঠিক ব্যবস্থাপনা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে।
  7. সর্বজনীনতা: সর্বজনীনতা বলতে সর্বত্র এর প্রয়োজন যোগ্যতা বোঝায়। দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন-"ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন"। অর্থাৎ দলবদ্ধ যে কোন প্রচেষ্টায় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম ও অনস্বীকার্য। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সর্বত্র ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন লক্ষণীয়।
ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? ব্যবস্থাপনার কয়টি স্তর, বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।

ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ব্যবস্থাপনা হলো ধারাবাহিক কাজের সমষ্টি। এই কাজগুলি পরিকল্পনা, সংগঠন ,কর্মী সংস্থান, নির্দেশনা ,প্রেষণা, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চক্রাকারে সংঘটিত হয়ে থাকে। এই ব্যবস্থাপনা চক্রের যে গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা খুবই উল্লেখযোগ্য।

  • উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়তা করে।
  • উপকরণাদির সুষ্ঠু ব্যবহার লক্ষিত হয়।
  • দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে।
  • গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে।
  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়।
  • অপচয় হ্রাস করে।
  • সমস্যার সমাধানে সক্ষম হয়।
  • সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে।
  • প্রতিযোগিতা মোকাবিলা করে।
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
  • জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করে।
  • সামাজিক উন্নয়ন করে।
  • নেতৃত্ব দানে সক্ষম করে।
  • জাতীয় উন্নয়ন ঘটায়।

উপরিউক্ত কর্মপরিকল্পনা গুলি মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা সুপরিকল্পিতভাবে লক্ষ্য পূরণের সক্ষম হয়।

ব্যবস্থাপনার মূলনীতিগুলো কি কি?

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য যে সকল পদ্ধতি, রীতি-নীতি, কলাকৌশল প্রয়োগ করা হয় তাকে ব্যবস্থাপনার নীতি বা আদর্শসমূহ বলে।

আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হেনরি ফেয়ল 1916 সালে "Administration Industrielle et Generale" নামক গ্রন্থে ১৪ টি নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। নীতিগুলি নিম্নে আলোচিত হল:

  1. কার্যবিভাজন বা Division of work: প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া।
  2. কর্তৃত্ব ও দায়িত্বে সমতা রক্ষন বা Balancing Authority & Responsibility: কর্তিত্ব হল আদেশ দানের অধিকার, দায়িত্ব হল জবাবদিহি করার বাধ্যবাধকতা। উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এ নীতির উদ্দেশ্য।
  3. নিয়মানুবর্তিতা বা Discipline: প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলা।
  4. আদেশের এক্য বা Unity of command: একজন কর্মী প্রত্যক্ষভাবে একজন মাত্র ঊর্ধ্বতনের আদেশ মেনে চলবে।
  5. নির্দেশনার ঐক্য বা Unity of Direction: প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ড একটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সম্পাদিত হবে।
  6. সাধারণ স্বার্থে ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ বা Subordination of individual interest to general interest: ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া।
  7. পারিশ্রমিক বা Remuneration: প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রকৃতি এবং কর্মীদের মেধা, যোগ্যতা ,দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে উপযুক্ত মজুরি প্রদান।
  8. শ্রেণীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ বা Centralization & Decentralization: সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা উচ্চ পর্যায়ে কেন্দ্রীভূত রাখা এবং প্রয়োজনে নিম্নস্তরে ক্ষমতা, হস্তান্তর করা।
  9. জোড়া -মই-শিকল বা Scalar chain: আদেশ-নির্দেশ, সিদ্ধান্ত উচ্চ স্তরের নির্বাহী হতে নিম্নস্তরে পৌঁছায়; আবার তথ্য বা কার্যবিবরণী পর্যায়ক্রমে উপরের দিকে ধাবিত হয়।
  10. শৃঙ্খলা বা Order: যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে এবং উপযুক্ত বস্তুকে সঠিক স্থানে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানব শৃঙ্খলা ও বস্তুগত শৃঙ্খলা বিধান করা।
  11. সাম্যতা বা Equity: প্রতিষ্ঠানের সকলের প্রতি সমান , সম্মানজনক ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করা।
  12. চাকরির স্থায়িত্ব বা Stability of Service: প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
  13. উদ্দেশ্য বা Initiative: প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মীবৃন্দ তাদের চিন্তা-চেতনা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে।
  14. একতাই বল বা Esprit de crops (Unity is Strength): সকলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ দলীয় চেতনা সৃষ্টি এবং একসাথে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করা।

উপরিউক্ত নীতিগুলির প্রায়ৌগিক দিক থেকে ব্যবস্থাপনার কাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করে ও সার্বিক উন্নয়নের সচেষ্ট হয়।

আরও পড়ুন
সংখ্যা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী? বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? এর কারণ, ফলাফল
ভগ্নাংশ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী? ধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? শব্দ দূষণ কাকে বলে? কারণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের উপায়।
পরিবেশ বলতে কী বোঝ? পরিবেশের গুরুত্ব লেখ। ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।

শেয়ার
সেভ
শুনুন
1 টি উত্তর
Get AI answer for "ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? ব্যবস্থাপনার কয়টি স্তর, বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।"
Generate Answer
  1. ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ কি?
    উত্তর: ব্যবস্থাপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হলো পরিকল্পনা।

    ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন কথাটি কে বলেছেন?
    দার্শনিক সক্রেটিস ব্যবস্থাপনাকে সর্বজনীন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। F.W. Taylor, “Principle of Scientific Management.” নামক গ্রন্থে বলেন, “ ব্যবস্থাপনার নীতি ও পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলো সমভাবে প্রয়োগ করা যায়”।
    মন্তব্য
    শেয়ার
    শুনুন
একটি উত্তর লিখুন
banner

লেখালেখি করে মাসে ৪ - ৫ হাজার টাকা ইনকাম করুন।

Ask 3schools এর ব্যবহারকারীদের সাথে আপনার জ্ঞান শেয়ার করুন এবং মাসে ₹৫০০০ পর্যন্ত আয় করার সুযোগ পান। কন্টেন্ট লিখতে চাইলে "কন্টেন্ট লিখুন" এবং প্রশ্ন ও উত্তর লিখতে চাইলে "প্রশ্ন ও উত্তর লিখুন" বাটনটি ক্লিক করে সমস্ত বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন।

কন্টেন্ট লিখুনপ্রশ্ন ও উত্তর লিখুন
back
View All
ask 3schools
কুইজ
প্রশ্ন করুন