পরিবেশ কাকে বলে? পরিবেশ কত প্রকার ও কি কি? পরিবেশের গুরুত্ব লেখ।
ভূমিকা:- উদ্ভিদ, মানুষ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করে এবং যে দৃশ্য ও অদৃশ্য উপাদান মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর প্রভাব বিস্তার করে সম্মিলিতভাবে তাকে পরিবেশ বলে।
মানুষের চারিদিকে যে প্রাকৃতিক ও মানবিক স্পর্শ রয়েছে, যাদের ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব সম্ভব নয়, সেসব বিষয়গুলিকে একত্রিতভাবে বলা হয় পরিবেশ।
মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপরে তার অর্থনীতি কর্মধারা ও জীবনযাত্রা প্রণালী নির্ভর করে । পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের অর্থনীতি ক্রিয়া-কলাপ ও জীবনযাত্রা প্রণালীর মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা মূলত নির্ভর করে পরিবেশের পার্থক্যের উপর।
পরিবেশের সংজ্ঞা বা পরিবেশ বলতে কী বোঝ?
বিজ্ঞানীরা পরিবেশের নানান সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাদের বলার ধরন আলাদা হলেও মূল কথাটির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
[১] ইউনাইটেড নেশনস্ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (১৯৭৬)- এ দেওয়া সংজ্ঞা অনুসারে - পরিবেশ বলতে পরস্পর ক্রিয়াশীল উপাদান গুলির মাধ্যমে গড়ে ওঠা সেই প্রাকৃতিক ও জীব মণ্ডলীয় প্রণালী কে বোঝায় যার মধ্যে মানুষ ও অন্যান্য সজিব উপাদান গুলি বেঁচে থাকে বা বসবাস করে।
[২] পরিবেশ বিজ্ঞানী বটকিন্ এবং খেলার ১৯৯৫ সালে তাদের "এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স" নামক গ্রন্থে বলেছেন যে - "জীব, উদ্ভিদ বা প্রাণী তাদের জীবনচক্রের যেকোনো সময়ে যে সমস্ত জৈব এবং অজৈব কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়, সেই কারণগুলির সমষ্টিকে পরিবেশ বলে।
[৩] আর্মস ১৯৯৪ সালে তার "এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স" নামক গ্রন্থে বলেছেন- "জীব সম্প্রদায়ের পারিপার্শ্বিক জৈব এবং প্রাকৃতিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে"।
পরিবেশ কয় প্রকার ও কি কি?
জীব জড় ও শক্তির সমন্বয়ে গঠিত মানুষের চারপাশের এই পরিবেশকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১.প্রাকৃতিক পরিবেশ বা ভৌগোলিক পরিবেশ।
২.সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ ।
তবে কোথাও কোথাও পরিবেশকে তিনটি ভাগেও ভাগ করা হয়েছে যথা - ভৌত বা প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীবজ পরিবেশ, সামাজিক পরিবেশ। এখানে মূলত আমরা দুটি পরিবেশ সম্পর্কে জানব।
১.প্রাকৃতিক পরিবেশ বা ভৌগোলিক পরিবেশ কাকে বলে?
প্রাকৃতিক পরিবেশ হলো এক এবং অভিন্ন এবং স্বতন্ত্র যা সমস্ত কিছুর ধারক এবং বাহক এবং নিয়ন্ত্রক ও এই প্রকৃতিতে মানুষ অন্ন বস্ত্র বাসস্থান সমন্বয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে তার জীবন গড়ে তোলে।
প্রকৃতিতে যে উপাদানগুলি রয়েছে, সেগুলি হল - ভৌগলিক অবস্থান, ভূপ্রকৃতি, অভ্যন্তরীণ জলভাগ, সৈকত রেখা, জলবায়ু, মৃত্তিকা, প্রাণীজগৎ, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি।
২.সামাজিক পরিবেশ বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
পরিবেশের মধ্যে সামাজিক বা সাংস্কৃতিক উপাদান হলো মানুষের তৈরি একটি কৃত্রিম পরিবেশ। যেখানে মানুষ তার নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, ও বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটিয়ে জীবনকে স্বতন্ত্রভাবে সাজিয়ে নিয়েছে।
এই সাংস্কৃতিক উপাদান গুলি হল - জনসংখ্যা, জনবসতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, জাতি, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য।
পৃথিবীর উপাদান : পরিবেশের উপাদান জানতে গেলে প্রথমে আমাদের জানা দরকার পৃথিবীর উপাদানগুলি কি কি রয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে যে উপাদানগুলি আমাদেরকে ঘিরে রয়েছে সেগুলি হল -
- জীব মন্ডল ।
- বারি মন্ডল বা জলমন্ডল ।
- শিলামন্ডল বা অশ্বমণ্ডল।
- বায়ুমণ্ডল।
পরিবেশের উপাদান: পরিবেশের উপাদান গুলি কে বিভিন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে দেখিয়েছেন -
১.ব্রিটিশ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মত।
২.আমেরিকান পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মত।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এখানে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান গুলিকে সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম উপাদানে ভাগ করে দেখিয়েছেন। কিন্তু এখানে আমরা জীবের পরিবেশকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করব। জীবের পরিবেশকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :-
১.জীবের পরিপার্শস্থ্য জড় উপাদান সমূহ যাকে অজৈব বা জড় উপাদান বলা হয় ।
২.জীবের সজীব উপাদান।
১. জড় বা অজৈব উপাদান (Abiotic Component):
পরিবেশের অজৈব বা জড় উপাদান গুলিকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায় :-
A.ভূ প্রকৃতিগত উপাদান : ভূ-প্রকৃতিগত উপাদান গুলি হল-উচ্চতা, ভূমিরূপ, নদী হিমবাহ ভূমিরূপে ঢাল ইত্যাদি ।
B.জলবায়ুগত উপাদান : জলবায়ুগত উপাদান গুলি হল সূর্যালোক তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত আর্দ্রতা বায়ুর চাপ বায়ু প্রবাহ জলপ্রবাহ কুয়াশা তুষারপাত শিলা বৃষ্টি প্রভৃতি।
C.ভৌত উপাদান : বিভিন্ন প্রকার গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব ও তার আংশিক চাপ, জল ,মাটি, বায়ু ,সৌরশক্তি, ভূ- চৌম্বকীয় শক্তি ইত্যাদি হলো ভৌত উপাদান।
D.রাসায়নিক উপাদান : রাসায়নিক উপাদান গুলি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -
i.অজৈব রাসায়নিক: কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জল, মাটি।
ii. জৈব রাসায়নিক: জীবন্ত নয় অথচ জৈব পদার্থ যেমন - ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট।
২. সজীব উপাদান :
পরিবেশের সজীব উপাদান গুলিকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -
A.স্বভোজী উপাদান/উৎপাদক: নিজ দেহে ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে সব শক্তির উৎস সূর্যালোকের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষের প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে, তাদেরকে স্বভোজী বা উৎপাদক বলা হয়। উদাহরণ- উদ্ভিদ, শৈবাল বা ব্যতিক্রমী প্রাণী।
B.পরভোজী বা খাদক:
পরিবেশে অবস্থিত সেই সব প্রানী বা জীব যারা নিজেদের খাদ্য তৈরী করতে পারে না। যেমন - মানুষ, গরু, কুকুর ইত্যাদি। এদের আবার তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
১.প্রথম শ্রেণীর খাদক :- ইঁদুর, হরিণ, গরু, ছাগল যারা সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে খাদ্য গ্রহণ করে।
২.দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদক :- মাছ, ব্যাঙ বা বাঘ ইত্যাদি যারা প্রথম শ্রেণীর খাদককে খেয়ে বেঁচে থাকে।
৩.তৃতীয় শ্রেণীর খাদক :- মানুষ, সাপ, বাজপাখি যারা দ্বিতীয় শ্রেণীকে খাদ্য রূপে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
C.মৃতজীবী উপাদান : যে সব উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ অথবা অন্যান্য জৈব পদার্থ ( গোবর) থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী বা স্যাপ্রোফাইট বলে। যেমন - ব্যাঙের ছাতা।
পরিবেশের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা :
মানুষ তথা সমগ্র জীবজগতের কাছে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে পরিবেশের গুরুত্ব গুলি আলোচনা করা হলো :-
১.বাস্তু তান্ত্রিক মূল্য :- বাস্তু তান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পরিবেশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ একই বাস্তু তন্ত্রের উপস্থিত জীব গোষ্ঠী পরস্পর নির্ভরশীল হয়ে বসবাস করে। বাস্তুতন্ত্রের একটি প্রজাতির জীবের বিনাশ অন্য কোন প্রজাতির বিপন্নতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী বিলুপ্ত হলে বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২.অর্থনৈতিক মূল্য :- মানুষ তার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ঔষধপত্র প্রভৃতির জন্য সরাসরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। জীব-বৈচিত্রের জন্যই মানুষ তার ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়। তাই খাদ্য, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন জীব বৈচিত্রের উপর সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
৩.পরিবেশ রক্ষায় জৈব বৈচিত্র্য :- পরিবেশ দূষণ রোধ করতে জীব মন্ডলের সার্বিক সংরক্ষণ ও তার কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য জৈব বৈচিত্র্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখতে, বৃষ্টিপাত ঘটাতে উদ্ভিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে সবুজ উদ্ভিদের ধ্বংস হওয়ায় বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটছে।
জিন ভান্ডার হিসেবে জৈব বৈচিত্র্য :- পরিবেশ হলো প্রকৃতপক্ষে বিপুল সংখ্যক জিনের ভান্ডার। বিভিন্ন জীবের এই জিনের ভান্ডার মানুষের কাছে এক অমূল্য সম্পদ। এই জিন ভান্ডারে অসংখ্য উত্তম গুন সম্পন্ন জিন রয়েছে। জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে যা সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীদের স্থানান্তরিত করে পছন্দ সহি গুন সম্পন্ন উন্নত মানের উচ্চ ফলনশীল ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ বা প্রাণী তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে মানব সমাজের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
৫. নান্দনিক ও শিক্ষাগত মূল্য :- বিভিন্ন প্রজাতির জীব প্রকৃতিকে জৈব বৈচিত্র ময় ও সুন্দর করে তোলে। মানুষের সঙ্গে বন ও বন্যপ্রাণীর সম্পর্ক অতী প্রাচীন। যে কোন দেশের জৈব বৈচিত্র্য সেই দেশের সম্পদ। সেই সম্পদের নমুনা চিড়িয়াখানা, মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের সাথে সাধারণ মানুষের পরিচয় ঘটানো যায়। শিক্ষার্থীরা পরিবেশের অভ্যন্তরীণ এই জীব বৈচিত্র সম্বন্ধে ধারণা করতে পারে। ফলে নান্দনিক ও শিক্ষাগত মূল্য বৃদ্ধি পায়।
৬. নৈতিক মূল্য :- প্রত্যেক জীবের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পূর্ণ অধিকার আছে। ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্ব প্রকৃতি সম্পর্কিত ঘোষণা পত্রে এই চিন্তা ধারা স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আমাদের কর্তব্য প্রতিটি প্রজাতির জীবকে বাঁচিয়ে রাখা। এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও গুরুত্ব সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা।
৭.সাংস্কৃতিক গুরুত্ব :- মানব সভ্যতার ও সংস্কৃতি গুণগত মান উন্নয়ন ও অস্তিত্ব রক্ষায় জীব বৈচিত্র বা পরিবেশের অবদান অনস্বীকার্য। প্রকৃতিই মানুষের শিক্ষা, সৌন্দর্যবোধ ও সংস্কৃতির উৎস। জিন প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত সংকর প্রজাতি, এন্টি বডি, ইনসুলিন তৈরি করা হচ্ছে।
৮.আধ্যাত্মিক গুরুত্ব :- ভারতের বহু উদ্ভিদ ও প্রাণীর ঐশ্বরিক ও আনুষ্ঠানিক মূল্য বিদ্যমান। হিন্দুদের শিব পূজোয় ধুতুরা, শ্যামা পূজায় জবা, গুজরাটে যজ্ঞাগ্নীতে সামী ফুলের ব্যবহার হয়। বিভিন্ন দেবদেবীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় মানুষের কাছে বিশেষ কিছু উদ্ভিদের ধর্মীয় মূল্য রয়েছে। যেমন -তুলসী, বেল, নিন, বট, অশ্বত্থ, আম, কলাগাছ ইত্যাদি। কোন কোন প্রাণীকে হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর বাহন রূপে দেখা যায়। যেমন- দুর্গার সিংহ, গনেশের ইঁদুর, মহাদেবের ষাঁড়, কার্তিকের ময়ূর, লক্ষ্মীর পেঁচা, সরস্বতীর হাঁস।
৯. সচেতনতার প্রসার ঘটানো :- বেতার, দূরদর্শন, চলচ্চিত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে জল বাতাস মাটি ও বনভূমিকে বিশুদ্ধ রাখার প্রয়াস করা ও শব্দ দূষণে নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ মানুষকে এর মাধ্যমে সচেতন করার প্রয়াস করতে পারা যায়। এবং ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন এলাকায় সভা বা সেমিনার করে মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে ও বহু প্রচেষ্টা চলছে।
উপসংহার :- জীবনে সুস্থভাবে বাঁচার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ পরিবেশ। তাই পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সমাজের শিক্ষিত মানুষদের এই অবক্ষয় প্রতিরোধে তাৎপর্যমন্ডিত ভূমিকা রয়েছে। আমাদের প্রত্যেক নাগরিকদের নিজেকে বাঁচাতে ও বাঁচতে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষার কবজ প্রদান করার জন্য এই পরিবেশকে আমাদেরকে সুস্থ ও সুন্দর করে বাঁচিয়ে রাখার সংকল্প নিতে হবে।
আমাদের চারপাশের ভৌত অবস্থা, জলবায়ু ও প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য জীব ও জৈব উপাদান ইত্যাদির সামষ্টিক রূপই হলো পরিবেশ।