একনজরে পশ্চিমবঙ্গসাধারণ জ্ঞানবিপরীত শব্দসন্ধি বিচ্ছেদ FaceBookকুইজ খেলুনবিজ্ঞাপন আমাদের অ্যাপ
কুইজে অংশগ্রহণ করে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।Play Now
শিক্ষক 2
শিক্ষক 2 ০৭ সেপ্টেম্বর › #কাকে বলে #বাংলা
Follow Us  

ধ্বনি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

এই পোস্টে রয়েছে : ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি? স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণ দাও এবং স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কয় প্রকার ও পার্থক্য লেখ।

Table Of Contents
  1. ধ্বনি কাকে বলে?
  2. ধ্বনির বৈশিষ্ট্য লেখ
  3. ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?
  4. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির পার্থক্য

ধ্বনি কাকে বলে বা ধ্বনি বলতে কী বোঝ?

সংজ্ঞা:- ভাষার মূলগত উপাদান হলো ধ্বনি। মানুষ তার মনের ভাবকে কিছু সাংকেতিক আওয়াজের সাহায্যে প্রকাশ করে। এই সাংকেতিক আওয়াজ গুলি বিভিন্ন সমন্বয়ে মিলিত হয়ে অর্থবহ সমষ্টি গড়ে তোলে। ভাষায় ব্যবহৃত এই আওয়াজ গুলি সৃষ্টি হয় মানুষের বাগযন্ত্রে। এই আওয়াজ গুলি ব্যাকরণে ধ্বনি নামে পরিচিত।

সাধারণ ব্যবহারিক জীবনে যে কোন আওয়াজকেই ধ্বনি বলে। কিন্তু ব্যাকরণে ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে মানুষের বাকযন্ত্র থেকে নিঃসৃত সাংকেতিক আওয়াজ কে ধ্বনি বলা হয়।

মনে রাখতে হবে ভাষার ধ্বনি তখনই সার্থক হয় যখন তা এককভাবে বা ধ্বনিগুচ্ছ আকারে কোন ভাব বা সংকেত বহন করে।

ধ্বনির বৈশিষ্ট্য হল:

  1. ধ্বনি হবে মানুষের বাকযন্ত্র থেকে সৃষ্ট।
  2. ধ্বনি উচ্চারিত হবে স্বেচ্ছায়।
  3. ধ্বনি উচ্চারিত হবে ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে।

ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?

ধ্বনিকে প্রাথমিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় :-
১.বিভাজ্য ধ্বনি।
২.অবিভাজ্য ধ্বনি।

১.বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

আমরা সাধারণ ধারণায় যেগুলিকে ধ্বনি বলি, অর্থাৎ অ, আ, ক, খ ইত্যাদি। এগুলি আসলে বিভাজ্য ধ্বনি। কারণ এগুলিকে যেকোনো সমষ্টির অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং তাদের আবার আলাদা করে দেখানো যায়। যেমন আকাশ আ + ক্ + আ + শ্ + অ। এই বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার :- ১.স্বরধ্বনি ও ২.ব্যঞ্জনধ্বনি।

২.অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?

আমরা কথা বলার সময় যে বিশেষ সুর, তাল, কন্ঠের ওঠা পড়া ইত্যাদি ব্যবহার করি সেগুলি হল অবিভাজ্য ধ্বনি। উদাহরণ:- 'রাম যাবে'। আর 'রাম যাবে?' বললে তার চেয়ে অনেক আলাদা সোনায় এই পার্থক্যটা গড়ে দিচ্ছে অবিভাজ্য ধ্বনি।

অবিভাজ্য ধ্বনি মূলত চার প্রকার - সুর তরঙ্গ, যতি, দৈর্ঘ্য ও শ্বাসাঘাত।


এই বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার :- ১.স্বরধ্বনি ও ২.ব্যঞ্জনধ্বনি।

১.স্বরধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?

স্বরধ্বনির একটি পুরাতন প্রচলিত সংজ্ঞা রয়েছে। যে ধ্বনিকে অন্য ধ্বনি সাহায্য ছাড়াই উচ্চারণ করা যায় তাকে স্বরধ্বনি বলে।

স্বরধ্বনির এই সংজ্ঞাটি ছাড়াও একটি ধ্বনি তাত্ত্বিক বা ভাষাতাত্ত্বিক সংজ্ঞা রয়েছে। যে ধ্বনিকে উচ্চারণ করার জন্য শ্বাসবায়ুকে বাগযন্ত্রের কোথাও বাধা দিতে হয় না তাকে স্বরধ্বনি বলে।

স্বরধ্বনির একটি বৈশিষ্ট্য হল একে অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্চারণ করা যায়।

এই স্বরধ্বনিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় :- ১.মৌলিক স্বরধ্বনি ও ২.যৌগিক স্বরধ্বনি

১.মৌলিক স্বরধ্বনি কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

মৌলিক স্বরধ্বনি বলতে সেইসব স্বরকে বোঝায়, যেগুলিকে ভাঙা যাবে না এবং যে স্বরগুলি অন্য কোন স্বরের রুপভেদ নয়। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭টি। যথা :- অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।

বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনি গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. জিহ্বার অবস্থান অনুসারে।
  2. মুখবিবরের শূন্যস্থানের পরিমাপ অনুসারে।
  3. ওষ্ঠের আকৃতি অনুসারে।

১. জিহ্বার অবস্থান অনুসারে: জিহ্বার অবস্থান অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায় :-

ক) জিহ্বার সম্মুখ- পশ্চাৎ অবস্থান :
১.সম্মুখ স্বরধ্বনি- ই,এ,অ্যা।
২.পশ্চাৎ স্বরধ্বনি -অ,ও,উ।
৩.কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি -আ।

খ) জিহ্বার উচ্চ -নিচ অবস্থান:
১. উচ্চ স্বরধ্বনি-ই,উ।
২. উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি-এ,ও।
৩. নিম্ন স্বরধ্বনি-আ।
৪. নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি-অ,অ্যা।

২.মুখবিবরে শূন্যস্থানের পরিমাপ অনুসারে: চার ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. সংবৃত স্বরধ্বনি-ই,উ।
  2. অর্ধ সংবৃত স্বরধ্বনি-এ,ও।
  3. বিবৃত স্বরধ্বনি-আ।
  4. অর্ধ বিবৃত স্বরধ্বনি-অ,অ্যা।

৩. পোস্টের আকৃতি অনুসারে: তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. প্রসারিত স্বরধ্বনি-ই,এ,অ্যা।
  2. কুঞ্চিত স্বরধ্বনি-অ,ও,উ।
  3. মধ্যস্থ স্বরধ্বনি-আ।

**স্বরধ্বনির বর্গীকরণ**

  1. উচ্চারণের পরিমাপ বা মাত্রা অনুসারে।
  2. উচ্চারণের প্রকৃতি বা রীতি অনুসারে।
  3. জিহ্বার অবস্থান অনুসারে।
  4. মুখবিবরের শূন্যস্থানের পরিমাপ অনুসারে।
  5. ওষ্ঠের আকার অনুসারে।

১. উচ্চারণের পরিমাপ অনুসারে:

উচ্চারণের পরিমাপ অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায় :-
ক) হ্রস্ব স্বর-অ,ই,উ।
খ) দীর্ঘ স্বর-আ,উ,এ,এ,ও,ও,ও।
গ) প্লুতস্বর -এ।

২. উচ্চারণের প্রকৃতি অনুসারে:

উচ্চারণের প্রকৃতি অনুসারে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. মৌলিক স্বর-অ,আ,ই,উ,এ,ও,অ্যা।
খ. যৌগিক স্বর-ঐ,ও।
গ. অর্ধস্বর -ই,উ,এ,ও।
ঘ. অনু নাসিক সর-চাঁদ, বাঁকা।

৩. জিহ্বার অবস্থান অনুসারে:

জিহ্বার অবস্থান অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

A. সম্মুখ -পশ্চাৎ:
  • ক) সম্মুখ স্বরধ্বনি।
  • খ) পশ্চাৎ স্বরধ্বনি।
  • গ) কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি।
B. উচ্চ -নীচ:
  • ক) উচ্চ স্বর।
  • খ) উচ্চমধ্যস্বর।
  • গ) নিম্ন মধ্যস্বর।
  • ঘ) নিম্নস্বর।

৪. মুখবিবরের শূন্যস্থানের পরিমাপ অনুসারে:

মুখ বিবরের শূন্যস্থানের পরিমাপ অনুসারে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. সংবৃত স্বরধ্বনি-ই,উ।
খ. অর্ধ সংবৃত স্বরধ্বনি-ই,উ।
গ. অর্ধ বিবৃত স্বরধ্বনি-অ,অ্যা।
ঘ. বিবৃত স্বরধ্বনি-আ।

৫. ওষ্ঠের আকার অনুসারে:

ওষ্ঠের আকার অনুসারে স্বরধ্বনি তিন প্রকার-
ক) প্রসারিত স্বর-ই,এ,অ্যা।
খ) কুঞ্চিত স্বর -উ,ও,অ।
গ) স্বাভাবিক স্বর-আ।

২.যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে?

একাধিক মৌলিক স্বরধ্বনি যোগে যে স্বরগুচ্ছ তৈরী হয়, তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। উদাহরণ - ও,ঔ।

ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?

যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাস বায়ু মুখবিবরের কোন না কোন থানে বাধা পায় এবং স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্ট উচ্চারিত হতে পারে না তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন:- ক, খ, চ, ছ।

ব্যঞ্জনধ্বনির বর্গীকরণ: ব্যঞ্জনধ্বনি গুলিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ১. উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী। ২. উচ্চারণ প্রকৃতি অনুযায়ী।

১. উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণীবিভাগ:

ক) জিহ্বা প্রান্তীয় ব্যঞ্জনধ্বনি:
১. দন্ত ব্যঞ্জনধ্বনি - ত,থ,দ,ধ।
২. দন্ত মূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি : - র,ল,ন ।
৩.উত্তর দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি - ট,ড ।
৩.প্রতি বেষ্টিত ধ্বনি- ট,ঠ,ড,ঢ।

খ) তালু দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি:- চ,ছ,জ,ঝ।
গ) জিহ্বা মূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি:- ক,খ,গ,ঘ,ঙ।
ঘ) ওষ্ঠ ধ্বনি:- প,ফ,ব,ভ,ম।
ঙ) কন্ঠনালীয় ব্যঞ্জনধ্বনি:- হ।

২.উচ্চারণের প্রকৃতি অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ:-

স্পর্শ ধ্বনি: ক্ থেকে ম্ পর্যন্ত ২৫ টি ধ্বনি উচ্চারণ করার সময় জিহ্বার কোন না কোন অংশ মুখবিবারে কোন না কোন স্থান স্পর্শ করে উচ্চারিত হয় বলে এদের স্পর্শ ধ্বনি বলে।

বর্গীয় ধ্বনি: ক্ থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি ধ্বনিকে উচ্চারণ স্থান অনুসারে পাঁচটি বর্গ বা শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। ক - বর্গ - ক খ গ ঘ উ
চ - বর্গ - চ ছ জ ঝ ও
ট -বর্গ- ট ঠ ড ঢ ণ
ত - বর্গ - ত থ দ ধ ন
প -বর্গ- প ফ ব ভ ম

কন্ঠ ব্যঞ্জন: ক - বর্গের ধ্বনি গুলোর উচ্চারণ কালে জিহ্বা মূল কন্ঠ স্পর্শ করে। তাই এদের কন্ঠ ধ্বনি বলে।

তালব্য ব্যঞ্জন: চ -বর্গের ধ্বনি গুলি উচ্চারণের সময় জিহ্বার মধ্যভাগ তাল স্পর্শ করে।

মূর্ধন্য ব্যঞ্জন: ট- বর্গের ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিহ্বার অগ্রভাগ উল্টে গিয়ে মূর্ধা স্পর্শ করে।

দন্ত্ব্য ব্যঞ্জন: ত - বর্গের ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিহ্বার উপরের পাটির দাঁতকে স্পর্শ করে।

দন্ত্য মূলীয় ব্যঞ্জন: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার অগ্রভাগ দন্তমূল স্পর্শ করে তাকে দন্ত্য মূলীয় ব্যঞ্জন বলে।

ওষ্ঠ ব্যঞ্জন: দুটো ঠোঁট বন্ধ করে শ্বাসবায়ুকে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর ঠোঁট দুটো সামান্য খুলে যে ধ্বনি উচ্চারণ হয় তাকে ওষ্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন - প বর্গীয় ধ্বনি।

নাসিক্য ব্যঞ্জন: প্রতিটি বর্গের পঞ্চম ধ্বনি।- ঙ,ঞ,ন,ণ,ম।

অল্পপ্রান ধ্বনি: প্রতি বর্গের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি।

মহাপ্রান ধ্বনি: প্রতি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি।

অঘোষ ধ্বনি: প্রতি বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনি। এছাড়াও শ,ষ,স ধ্বনি।

ঘোষ ধ্বনি বা নাদ ধ্বনি: প্রতি বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধ্বনি। এছাড়া ও 'হ' ধ্বনি।

উষ্ম ধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনি গুলি উচ্চারণের সময় শ্বাস বায়ুকে ইচ্ছেমতো প্রলম্বিত করা যায়। যেমন- শ,ষ,স,হ।

শিস ধ্বনি: শ,স,ষ ধ্বনি উচ্চারণের সময় একটা শিস জাতীয় ধ্বনি উৎপন্ন হয় বলে এদের শিসধ্বনি বলে।

অন্তঃস্থ ব্যঞ্জনধ্বনি: স্পর্শ ধ্বনি ও উষ্ম ধ্বনির মধ্যবর্তী বলে এগুলি অন্তঃস্থ ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন - য,র,ল,ব।

রনিত বা কম্পিত ধ্বনি:- র।
তাড়নজাত ধ্বনি:- ড়,ঢ়।
পার্শ্বিক ধ্বনি: 'ল'
আশ্রয়স্থানভাগী: ং, ঃঃ

অযোগবাহ ধ্বনি: ং এবং ঃ। ব্যঞ্জন দুটি স্বর ও ব্যঞ্জনের সঙ্গে কোন সংযোগ নেই তাই অযোগ। এবং উচ্চারণ কালে এরা নানারূপ পরিবর্তন ঘটায়,তাই বাহ।

সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি: ক্ষ= ক্+ষ্ । দুটো ব্যঞ্জন সংযুক্ত হয়ে তৈরী।

ঘৃষ্ট ধ্বনি: জিহ্বা ও তালুর স্পর্শে ঘর্ষণজাত আওয়াজ সৃষ্টি হলে এই ধ্বনি উচ্চারণ হয়।চ,ছ,জ,ঝ।
তরল ধ্বনি: র,ল

ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি? স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণ দাও এবং স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কয় প্রকার ও পার্থক্য লেখ।

স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য লেখ।


স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনি
স্বরধ্বনি গুলি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্চারিত হতে পারে। ব্যঞ্জনধ্বনি গুলি স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না।
স্বরধ্বনি গুলিকে যতক্ষণ দম থাকে ততক্ষণ উচ্চারণ করা যায়। অর্থাৎ টেনে টেনে উচ্চারণ করা যায়। ব্যঞ্জনধ্বনি কে টেনে উচ্চারণ করা যায় না।
স্বরধ্বনিকে উচ্চারণ করার সময় শ্বাস বায়ুকে কোথাও বাধা পেতে হয় না। ব্যঞ্জনধ্বনি এর ক্ষেত্রে শ্বাসবায়ুকে বাকযন্ত্রের কোথাও না কোথাও কম বেশি বাধা পেয়ে উচ্চারিত হতে হয়।
স্বরধ্বনির সংখ্যা কম। ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি।

আরও পড়ুন
সংখ্যা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী? বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? এর কারণ, ফলাফল
ভগ্নাংশ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী? ধ্বনি কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? শব্দ দূষণ কাকে বলে? কারণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের উপায়।
পরিবেশ বলতে কী বোঝ? পরিবেশের গুরুত্ব লেখ। ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং মূলনীতি গুলি আলোচনা কর।

শেয়ার
সেভ
শুনুন
1 টি উত্তর
Get AI answer for "ধ্বনি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।"
Generate Answer
  1. ধ্বনি ও বর্ণ কাকে বলে? পার্থক্য লেখ।

    যে শব্দ উচ্চারিত হয় তাকে ধ্বনি বলে। যে চিহ্নের সাহায্যে ধ্বনি লেখা হয় তাকে বর্ণ বলে।

    ধ্বনি হলো ভাষার মৌলিক উপাদান। এটি হলো এমন শব্দ যা মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং কানে শোনা যায়। ধ্বনিকে উচ্চারণ করা হয় বাগযন্ত্রের সাহায্যে। বাগযন্ত্র হলো মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট, দাঁত, তালু ইত্যাদি অঙ্গ।

    বর্ন হলো ধ্বনির লিখিত রূপ। এটি হলো এমন চিহ্ন যা ধ্বনিকে প্রকাশ করে। বর্ণকে অক্ষরও বলা হয়। বাংলা ভাষায় ৫০টি বর্ণ আছে। এগুলি হলো:

    স্বরবর্ণ: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
    ব্যঞ্জনবর্ণ: ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ
    মন্তব্য
    শেয়ার
    শুনুন
একটি উত্তর লিখুন
banner

লেখালেখি করে মাসে ৪ - ৫ হাজার টাকা ইনকাম করুন।

Ask 3schools এর ব্যবহারকারীদের সাথে আপনার জ্ঞান শেয়ার করুন এবং মাসে ₹৫০০০ পর্যন্ত আয় করার সুযোগ পান। কন্টেন্ট লিখতে চাইলে "কন্টেন্ট লিখুন" এবং প্রশ্ন ও উত্তর লিখতে চাইলে "প্রশ্ন ও উত্তর লিখুন" বাটনটি ক্লিক করে সমস্ত বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন।

কন্টেন্ট লিখুনপ্রশ্ন ও উত্তর লিখুন
back
View All
ask 3schools
কুইজ
প্রশ্ন করুন